একটি ফার্মেসি কোর্সে আপনি যা শিখবেন তা সাধারণত ঔষধ, ফার্মাসিউটিক্যাল বিজ্ঞান, এবং স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা হলো কী কী বিষয় আপনি শিখবেন:
১. ঔষধের বিজ্ঞান (Pharmaceutical Chemistry):
ঔষধের রাসায়নিক গঠন এবং তাদের সংমিশ্রণ কিভাবে কার্যকর হয়।
ঔষধের বিশুদ্ধতা এবং কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়া।
নতুন ঔষধ আবিষ্কার ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব এবং অজৈব কেমিস্ট্রি।
২. ঔষধের প্রভাব (Pharmacology):
মানব শরীরে ঔষধ কিভাবে কাজ করে এবং এর প্রভাব কীভাবে প্রকাশ পায়।
ঔষধের ডোজ, তাদের ব্যবহারের পদ্ধতি, এবং সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
বিভিন্ন রোগের জন্য উপযুক্ত ঔষধের নির্বাচন।
৩. ঔষধের প্রণয়ন (Pharmaceutics):
ঔষধের প্রণয়ন, প্যাকেজিং, এবং বিতরণ প্রক্রিয়া।
ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সিরাপ, ইনজেকশন, এবং অন্যান্য ঔষধের প্রস্তুতি।
ঔষধের স্থায়িত্ব এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করার পদ্ধতি।
৪. ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি:
রোগীর চিকিৎসার সাথে সম্পর্কিত ঔষধ ব্যবস্থাপনা।
রোগীদের ঔষধ গ্রহণের পরামর্শ এবং ঔষধের সাথে সম্ভাব্য মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান।
ক্লিনিক্যাল কেস স্টাডি এবং বাস্তব পরিস্থিতিতে ঔষধ প্রয়োগ।
৫. ঔষধের বিশ্লেষণ (Pharmaceutical Analysis):
ঔষধের বিশুদ্ধতা ও কার্যকারিতা বিশ্লেষণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি।
গুণগত এবং পরিমাণগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঔষধের মান নিয়ন্ত্রণ।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে ঔষধের মান নিশ্চিতকরণ।
৬. প্রাকৃতিক ঔষধ (Pharmacognosy):
উদ্ভিদ, প্রাণী, এবং খনিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত ঔষধের প্রণয়ন।
ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক ঔষধের ব্যবহারের প্রক্রিয়া।
বিভিন্ন ঔষধি গাছপালার গুণাবলী ও কার্যকারিতা।
৭. হাসপাতাল ফার্মেসি:
হাসপাতালের পরিবেশে ঔষধের সঠিক বিতরণ এবং ব্যবস্থাপনা।
রোগীদের সঠিক ডোজ এবং ঔষধ প্রদান।
ঔষধ সংরক্ষণ ও স্টক ম্যানেজমেন্টের প্রক্রিয়া।
৮. ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানেজমেন্ট:
ফার্মেসি পরিচালনার দক্ষতা এবং ঔষধের সরবরাহ চেইন।
ঔষধ বিপণন এবং বিতরণের কৌশল।
ফার্মাসিউটিক্যাল আইনের অনুসরণ এবং নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া।
৯. বায়োকেমিস্ট্রি:
মানব শরীরের বিভিন্ন বায়োকেমিক্যাল প্রক্রিয়ার উপর ঔষধের প্রভাব।
বিভিন্ন এনজাইম এবং বায়োমার্কার নিয়ে কাজ করা।
১০. গবেষণা ও উন্নয়ন (Research and Development):
নতুন ঔষধের উন্নয়ন এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে তাদের কার্যকারিতা পরীক্ষা।
বায়োটেকনোলজি এবং বায়োফার্মাসিউটিক্যালস নিয়ে গবেষণা।
১১. নৈতিকতা ও পেশাগত আচরণ:
ফার্মেসি পেশার নৈতিক দিক এবং পেশাগত আচরণের মানদণ্ড।
রোগীদের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা ও সঠিক পরামর্শ প্রদান।
Copyright © 2024 Elearning Academy bd